Shuvhro Ki Korcho Part 3
গৌরীশঙ্করের স্ত্রী ননীবালা দেবী এই ঘটনার পর জমিদারীর রাশ টেনে ধরলেন । তাতে বিশেষ কিছু ফল হলনা । ওনার ঘরে অনেক পুতুল রাখা থাকত দেয়াল আলমারিতে । সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল । ননীবালা তাড়াতাড়ি করে সেরেস্তার কাজ সেরে খাওয়া-দাওয়া সেরে শুতে গেলেন । অকস্মাৎ, পুতুলেরা দেয়াল আলমারির মাধ্যে জীবন্ত হয়ে উঠল । তাঁরা ননীবালা দেবীকে ডাকতে লাগল "ওরে আয়, ওরে আয় আমাদের কাছে।"
উনি চীৎকার করে কাউকে ডাকতেও পারলেননা । একটা পুতুল আলমারি থেকে হাত বের করে ননীবালা দেবীর গলা অবধি নিয়ে এল । বলল, "যাবিনা মানে, পাপকে প্রশ্রয় দেবার সময় মনে ছিলনা? যা, তোকে একটা সুযোগ দিচ্ছি । বল্, এই বাড়িতে তোরা কয়টি প্রাণী বাস করিস ?" ননীবালা বললেন, পাঁচটি। পুতুলটা হাসতে লাগল, বলল, "চন্দনাকে ভুলে গেলি, আজ ওকেই নিয়ে যাই।" ননীবালা শিউরে উঠলেন, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, একটু জল খেয়ে চন্দনাকে দেখতে গেলেন । খাঁচা শূন্য, সে নেই। পুতুলটা খাঁচার মধ্যে বসে হাসছে । পুতুলটা বলল, "এইভাবেই তোদের আমি নির্বংশ করব।" এই বলে পুতুল অদৃশ্য হয়ে গেল । ননীবালা দেবী মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে লাগলেন, এর পর কি উপায় করা যায় এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ?
খুব ভালো লাগলো পড়ে
ReplyDelete