Friday, October 23, 2020

Shubhro Ki korcho part 2 by Arindam Ghosal

 

Bengali Horror Story Shubhro Ki Korcho Part 2


শুভ্রর ডাইরি-1

কলকাতা তখন অর্ধেক গ্রাম আর অর্ধেক জঙ্গল বললেও কিছু বাড়িয়ে বলা হয়না । গৌরীশঙ্কর ঘোষাল ছিলেন সেই সময়ের এক সুবিখ্যাত জমিদার । ব্রিটিশ সরকারের আনুকুল্যে তিনি অবিভক্ত বাংলার আরও অনেক অঞ্চলে নিজের জমিদারী বিস্তৃত করেছিলেন । ইতিহাস বলে যে তাঁর মতো প্রজাবৎসল আর ধর্মপরায়ণ জমিদার পাওয়া ভাগ্যের কথা । কিন্তু, সেই কথা কতটা সত্যি সেটা আমার থেকে ভালো কে জানবে । সারাদিন জমিদারীর কাজ দেখার পর প্রজাদের সমস্যায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়া, এই ছিল তাঁর প্রত্যেকদিনের অভ্যাস । কিন্তু রাতে কি হত ?

সব আমার শোনা কথা ।  কিন্তু,  আমার বাবা আমাকে সমস্ত তথ্য দিয়ে গেছেন যা থেকে কোন কিছু অস্বীকার করবার জায়গা নেই  । বারাসাত ও মধ্যমগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে ঘোষাল বংশের যে কালী মায়ের-মন্দির আছে তা আজকে ডাকাত-কালী-বাড়ী বলে পরিচিত ।

মহাযোগী লোকনাথ ব্রহ্মচারী ছিলেন গৌরীশঙ্করের ঠাকুরদাদা বিনোদবিহারী ঘোষালের কাকা । 

উনি নিষেধ করেছিলেন যে আত্মগরিমা ভাল নয়। অহংকার মানুষের পতন ডেকে আনে । কিন্তু, গৌরীশঙ্করের অহংকারের পরিধি বাড়তে থাকল । শুরু হল গরীব প্রজাদের ওপর অত্যাচার । ডাকাত-কালিবাড়ী ছিল ওনাদের প্রধান আস্তানা । ওখানে পুজো দিয়ে ওনারা ঘোড়ায় চেপে বেরিয়ে যেতেন ডাকাতি করতে ।

ফলস্বরুপ কি হল?

গৌরীশঙ্কর একদিন দুপুরে খেতে বসেছিলেন । ওনার পোষা বেড়াল এসে ওনার পাত থেকে মাছের মুড়ো নিয়ে পালাল । অবলা জীব, ভুল করতে পারে । ক্ষমা করা শ্রেয় হত । কিন্তু, গৌরীশঙ্কর সে পথে গেলেননা । বেড়াল কে ধরে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিলেন ।

সেদিন রাতে, উনি নিজের প্রিয় ঘোড়া সপ্তাশ্ব কে নিয়ে বাইরে যেতে চাইছিলেন । বাধা দিল পোষা চন্দনা, "গৌরী যাস না আজকে", যে চন্দনা অন্যদিন বলত "যা গৌরী যা যা" । তিন দিন পর গৌরীশঙ্কর বাড়ি ফিরলেন । সেই রাতে ওনার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেল । জমিদারী ভেঙে পড়তে লাগল, ঘোড়ার আস্তাবল, বেলজিয়াম কাঁচের আয়না, সব নীলাম হতে শুরু হল ।.....to be continued...

   

 

3 comments: