শুভ্রর ডাইরি-1
কলকাতা তখন অর্ধেক গ্রাম আর অর্ধেক জঙ্গল বললেও কিছু বাড়িয়ে বলা হয়না । গৌরীশঙ্কর ঘোষাল ছিলেন সেই সময়ের এক সুবিখ্যাত জমিদার । ব্রিটিশ সরকারের আনুকুল্যে তিনি অবিভক্ত বাংলার আরও অনেক অঞ্চলে নিজের জমিদারী বিস্তৃত করেছিলেন । ইতিহাস বলে যে তাঁর মতো প্রজাবৎসল আর ধর্মপরায়ণ জমিদার পাওয়া ভাগ্যের কথা । কিন্তু, সেই কথা কতটা সত্যি সেটা আমার থেকে ভালো কে জানবে । সারাদিন জমিদারীর কাজ দেখার পর প্রজাদের সমস্যায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়া, এই ছিল তাঁর প্রত্যেকদিনের অভ্যাস । কিন্তু রাতে কি হত ?
সব আমার শোনা কথা । কিন্তু, আমার বাবা আমাকে সমস্ত তথ্য দিয়ে গেছেন যা থেকে কোন কিছু অস্বীকার করবার জায়গা নেই । বারাসাত ও মধ্যমগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে ঘোষাল বংশের যে কালী মায়ের-মন্দির আছে তা আজকে ডাকাত-কালী-বাড়ী বলে পরিচিত ।
মহাযোগী লোকনাথ ব্রহ্মচারী ছিলেন গৌরীশঙ্করের ঠাকুরদাদা বিনোদবিহারী ঘোষালের কাকা ।
উনি নিষেধ করেছিলেন যে আত্মগরিমা ভাল নয়। অহংকার মানুষের
পতন ডেকে আনে । কিন্তু, গৌরীশঙ্করের অহংকারের পরিধি বাড়তে থাকল । শুরু হল গরীব প্রজাদের
ওপর অত্যাচার । ডাকাত-কালিবাড়ী ছিল ওনাদের প্রধান আস্তানা । ওখানে পুজো দিয়ে ওনারা
ঘোড়ায় চেপে বেরিয়ে যেতেন ডাকাতি করতে ।
ফলস্বরুপ কি হল?
গৌরীশঙ্কর একদিন
দুপুরে খেতে বসেছিলেন । ওনার পোষা বেড়াল এসে ওনার পাত থেকে মাছের মুড়ো নিয়ে পালাল ।
অবলা জীব, ভুল করতে পারে । ক্ষমা করা শ্রেয় হত । কিন্তু, গৌরীশঙ্কর সে পথে গেলেননা
। বেড়াল কে ধরে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিলেন ।
সেদিন রাতে, উনি
নিজের প্রিয় ঘোড়া সপ্তাশ্ব কে নিয়ে বাইরে যেতে চাইছিলেন । বাধা দিল পোষা চন্দনা,
"গৌরী যাস না আজকে", যে চন্দনা অন্যদিন বলত "যা গৌরী যা যা" ।
তিন দিন পর গৌরীশঙ্কর বাড়ি ফিরলেন । সেই রাতে ওনার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেল । জমিদারী
ভেঙে পড়তে লাগল, ঘোড়ার আস্তাবল, বেলজিয়াম কাঁচের আয়না, সব নীলাম হতে শুরু হল ।.....to be continued...
Love you bro, Pls continue
ReplyDeleteGreat
ReplyDeleteThat's great story
ReplyDelete